উখিয়া নিউজ ডেস্ক::
আন্দোলনের পাশাপাশি নির্বাচনী প্রস্তুতির অংশ হিসেবে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দল ও জোটের সম্ভাব্য প্রার্থীদের একটি খসড়া তালিকা তৈরি করে রেখেছে বিএনপি। কালের কণ্ঠ’র হাতে আসা ওই তালিকায় দেখা যায়, জামায়াতসহ ২০ দলীয় জোটের শরিক দলগুলোকে ১৮টি আসনে পুরোপুরি ছাড় দেওয়া হতে পারে।
আর ২০ দলীয় জোটের শরিক দল অথবা বিকল্প হিসেবে বিএনপির প্রার্থীর নাম উল্লেখ আছে ১১টি আসনে। সমঝোতা হলে সব মিলিয়ে ৩১টি আসন শরিক দলগুলোকে ছেড়ে দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় রেখে প্রাথামিকভাবে ওই খসড়া তালিকা করেছে বিএনপি।
তবে দলটির শীর্ষ পর্যায়ের একাধিক নেতা আলাপকালে কালের কণ্ঠকে বলেছেন, ওই তালিকাই চূড়ান্ত নয়। জোটভুক্ত দলগুলোর সঙ্গে দরকষাকষি এবং বিএনপির মনোনয়ন বোর্ডের সভায় আলোচনার পর তালিকায় কিছু পরিবর্তন আসতে পারে। আবার যুক্তফ্রন্ট, গণফোরামসহ বৃহত্তর ঐক্যে আগ্রহী দলগুলোর সঙ্গে শেষ পর্যন্ত নির্বাচনী জোট হলেও তালিকায় বড় ধরনের পরিবর্তন আসবে। এমন ক্ষেত্রে অবশ্য বিএনপিই বেশি ছাড় দেওয়ার চিন্তা করছে। সম্ভাব্য বৃহত্তর ঐক্যের কথা বিবেচনায় রেখেই তালিকায় বগুড়া-২ আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী এ কে এম হাফিজুর রহমানের বিকল্প হিসেবে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নার নাম রাখা হয়েছে। একইভাবে মুন্সীগঞ্জ-১ আসনে বিএনপির শাহ মোয়াজ্জেম হোসেনের বিকল্প হিসেবে বিকল্প ধারার সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাহী বি চৌধুরীর (বদরুদ্দোজা চৌধুরী নির্বাচন করবেন না বলে জানিয়েছেন) নাম, ঢাকা-১২ আসনে বিএনপির ব্যারিস্টার নাসিরউদ্দিন অসীমের বিকল্প হিসেবে গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনের নাম এবং লক্ষ্মীপুর-৪ আসনে বিএনপির এ বি এম আশরাফ উদ্দিন নিজানের আসনে জেএসডি সভাপতি আ স ম রবের নাম রাখা হয়েছে। টাঙ্গাইল-৮ আসনে বিএনপির আহমেদ আজম খানের বিকল্প হিসেবে রাখা হয়েছে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর নাম। খবর কালেরকেন্ঠের
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান কালের কণ্ঠকে বলেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মতো দলে সব সময়ই নির্বাচনের প্রস্তুতি থাকে। কিন্তু তালিকা প্রণয়নের বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তিনি জানান, নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হলে মনোনয়ন দিতে সময় লাগবে না। দ্রুত সময়ের মধ্যেই এ কাজ সম্পন্ন করা যাবে।
১৭৩ আসনে বিএনপির সম্ভাব্য একক প্রার্থী
পঞ্চগড়-১ ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার (নির্বাচন না করলে ছেলে ব্যারিস্টার নওশাদ জমির), পঞ্চগড়-২ ফরহাদ হোসেন আজাদ, ঠাকুরগাঁও-১ মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ঠাকুরগাঁও-২ মির্জা ফয়সাল আমিন, ঠাকুরগাঁও-৩ জাহিদুর রহমান, দিনাজপুর-২ লে. জে. (অব.) মাহবুবুর রহমান, দিনাজপুর-৫ রেজাওয়ানুল হক, লালমনিরহাট-২ সালেহ উদ্দিন হেলাল, লালমনিরহাট-৩ আসাদুল হাবিব দুলু, রংপুর-৪ এমদাদুল হক ভরসা, রংপুর-৬ নূর মোহম্মদ মণ্ডল, কুড়িগ্রাম-১ সাইফুর রহমান রানা, কুড়িগ্রাম-২ অ্যাডভোকেট রুহুল কবীর রিজভী, কুড়িগ্রাম-৩ তসবিরুল ইসলাম, জয়পুরহাট-২ ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোস্তফা, বগুড়া-১ মো. শোকরানা, বগুড়া-২ আবদুল মোমিন তালুকদার খোকা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আমিনুল ইসলাম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ হারুনুর রশীদ, নওগাঁ-১ ডা. ছালেক চৌধুরী, নওগাঁ-২ সামসুজ্জোহা খান, নওগাঁ-৩ পারভেজ আরেফিন সিদ্দিকী, নওগাঁ-৪ শামসুল আলম প্রামাণিক, নওগাঁ-৫ লে. কর্নেল (অব.) আবদুল লতিফ খান, রাজশাহী-১ ব্যারিস্টার আমিনুল হক, রাজশাহী-২ মিজানুর রহমান মিনু, রাজশাহী-৫ অ্যাডভোকেট নাদিম মোস্তফা, নাটোর-১ প্রয়াত ফজলুর রহমানের স্ত্রী কামরুন্নাহার শিরিন, নাটোর-২ অ্যাডভোকেট রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, নাটোর-৩ কাজী গোলাম মোর্শেদ, সিরাজগঞ্জ-২ ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, সিরাজগঞ্জ-৩ আব্দুল মান্নান তালুকদার, সিরাজগঞ্জ-৪ এম আকবর আলী, পাবনা-২ এ কে এম সেলিম রেজা, পাবনা-৩ কে এম আনোয়ারুল ইসলাম, পাবনা-৪ হাবিবুর রহমান হাবিব, মেহেরপুর-১ মাসুদ অরুন, মেহেরপুর-২ আমজাদ হোসেন, কুষ্টিয়া-১ রেজা আহম্মেদ বাচ্চু মোল্লা, কুষ্টিয়া-৩ অধ্যক্ষ সোহরাব হোসেন, কুষ্টিয়া-৪ সৈয়দ মেহেদী আহম্মেদ রুমি, চুয়াডাঙ্গা-১ শামসুজ্জামান দুদু, চুয়াডাঙ্গা-২ মাহমুদ হাসান বাবু, ঝিনাইদহ-১ আব্দুল ওহাব, ঝিনাইদহ-২ মশিউর রহমান, ঝিনাইদহ-৩ কণ্ঠশিল্পী মনির খান, ঝিনাইদহ-৪ শহিদুজ্জামান বেল্টু, যশোর-৩ এম তরিকুল ইসলাম (নির্বাচন না করলে তাঁর ছেলে অনিন্দ্য ইসলাম অমিত), যশোর-৪ টি এস আইউব, যশোর-৬ আবুল হোসেন আজাদ, মাগুরা-২ অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী, বাগেরহাট-১ শেখ ওয়াহিদুজ্জামান দ্বীপু, খুলনা-১ আমির এজাজ খান, খুলনা-২ নজরুল ইসলাম মঞ্জু, খুলনা-৪ আজিজুল বারী হেলাল, সাতক্ষীরা-১ হাবিবুল ইসলাম হাবিব, বরগুনা-২ অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, পটুয়াখালী-১ এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, পটুয়াখালী-২ এ কে এম ফারুক হোসেন তালুকদার, পটুয়াখালী-৪ এ বি এম মোশাররফ হোসেন, ভোলা-২ হাফিজ ইব্রাহিম, ভোলা-৩ মেজর (অব.) হাফিজউদ্দিন আহমেদ, ভোলা-৪ নাজিম উদ্দিন আলম, বরিশাল-৪ মেজবাউদ্দিন ফরহাদ, বরিশাল-৫ মজিবুর রহমান সরোয়ার, বরিশাল-৬ আবুল হোসেন খান, ঝালকাঠি-১ ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, টাঙ্গাইল-১ ফকির মাহবুব আলম স্বপন, টাঙ্গাইল-২ সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, টাঙ্গাইল-৩ লুৎফর রহমান খান আজাদ, টাঙ্গাইল-৪ লুৎফর রহমান মতিন, টাঙ্গাইল-৫ মেজর জেনারেল (অব.) মাহমুদুল হাসান, টাঙ্গাইল-৭ আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী, জামালপুর-৩ মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, জামালপুর-৪ ফরিদুল তালুকদার শামীম, শেরপুর-২ প্রকৌকশী ফাহিম চৌধুরী, শেরপুর-৩ মাহমুদুল হক রুবেল, ময়মনসিংহ-২ শাহ শহীদ সারওয়ার, ময়মনসিংহ-৩ ইঞ্জিনিয়ার ইকবাল হোসেন, ময়মনসিংহ-৬ ইঞ্জিনিয়ার শামসুদ্দিন আহমেদ, ময়মনসিংহ-৭ ডা. মাহবুবুর রহমান লিটন, ময়মনসিংহ-৮ নুরুল কবীর শাহীন, ময়মনসিংহ-৯ খুররম খান চৌধুরী, ময়মনসিংহ-১১ ফখরুদ্দিন আহম্মদ বাচ্চু, নেত্রোকোনো-২ আশরাফ উদ্দিন খান, কিশোরগঞ্জ-২ মেজর (অব.) আখতারুজ্জামান রঞ্জন, কিশোরগঞ্জ-৩ ড. ওসমান ফারুক, কিশোরগঞ্জ-৪ অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান, কিশোরগঞ্জ-৫ শেখ মুজিবুর রহমান ইকবাল, কিশোরগঞ্জ-৬ শরিফুল আলম, মানিকগঞ্জ-২ আফরোজা খান রিতা, মানিকগঞ্জ-৩ মাইনুল ইসলাম শান্ত, মুন্সীগঞ্জ-২ মিজানুর রহমান সিনহা, ঢাকা-১ আবদুল মান্নান, ঢাকা-২ আমানউল্লাহ আমান, ঢাকা-৩ গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ঢাকা-৪ সালাহউদ্দিন আহম্মদ, ঢাকা-৫ নবী উল্লাহ নবী, ঢাকা-৭ কল্পনা (নাসিরউদ্দিন পিন্টুর স্ত্রী), ঢাকা-৮ মির্জা আব্বাস, ঢাকা-৯ এম এ কাইয়ুম, ঢাকা-১৩ আবদুস সালাম, ঢাকা-১৫ সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ঢাকা-১৬ আহসান উল্লাহ হাসান, ঢাকা-১৭ মেজর জেনারেল (অব.) রুহুল আলম চৌধুরী, ঢাকা-১৮ মেজর (অব.) কামরুল ইসলাম, ঢাকা-১৯ ডা. দেওয়ান সালাউদ্দিন, গাজীপুর-২ হাসান উদ্দিন সরকার, গাজীপুর-৩ কাজী সাইদুল ইসলাম বাবুল, গাজুীপুর-৫ ফজলুল হক মিলন, নরসিংদী-১ খায়রুল কবীর খোকন, নরসিংদী-২ ড. আবদুল মঈন খান, নরসিংদী-৫ জামাল আহম্মদ চৌধুরী, নারায়ণগঞ্জ-৫ আবুল কালাম, রাজবাড়ী-১ আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়াম, রাজবাড়ী-২ নাসিরুল হক সাবু, ফরিদপুর-১ শাহ মোহম্মদ আবু জাফর, ফরিদপুর-২ শামা ওবায়েদ ইসলাম রিংকু, ফরিদপুর-৩ চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, ফরিদপুর-৪ চৌধুরী আকমল ইবনে ইউসুফ, গোপালগঞ্জ-২ এম এইচ খান মঞ্জু, গোপালগঞ্জ-৩ এস এম জিলানী, মাদারীপুর-১ খলিলুর রহমান চৌধুরী ঠাণ্ডু, মাদারীপুর-২ হেলেন জেরিন খান, মাদারীপুর-৩ মাসুকুর রহমান মাশুক, শরীয়তপুর-৩ শফিকুর রহমান কিরন, সুনামগঞ্জ-২ নাসিরউদ্দিন চৌধুরী, সুনামগঞ্জ-৪ ফজলুল হক আসপিয়া, সিলেট-১ খন্দকার আবদুল মুক্তাদির, সিলেট-২ লুনা ইলিয়াস, সিলেট-৩ শফি আহমেদ চৌধুরী, মৌলভীবাজার-১ এবাদুর রহমান চৌধুরী, মৌলভীবাজার-৩ এম নাসের রহমান, মৌলভীবাজার-৪ হাজী মুজিবুর রহমান চৌধুরী, হবিগঞ্জ-১ শেখ সুজাত মিয়া, হবিগঞ্জ-২ ডা. সাখাওয়াত হোসেন খান জীবন, হবিগঞ্জ-৪ সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়সল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ একরামুজ্জামান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ উকিল আবদুস সাত্তার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ মুশফিকুর রহমান, কুমিল্লা-১ ও কুমিল্লা-২ ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, কুমিল্লা-৪ মঞ্জুরুল আহসান মুন্সী, কুমিল্লা-৫ শওকত মাহমুদ (সাংবাদিক), কুমিল্লা-৬ আমিনুর রশিদ ইয়াসিন, কুমিল্লা-৮ জাকারিয়া সুমন তাহের, চাঁদপুর-৩ শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক, চাঁদপুর-৪ হারুনুর রশিদ, চাঁদপুর-৫ ইঞ্জিনিয়ার মমিনুল হক, ফেনী-১ খালেদা জিয়া, ফেনী-২ ভিপি জয়নাল আবেদীন, ফেনী-২ আবদুল আউয়াল মিন্টু, নোয়াখালী-১ ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, নোয়াখালী-২ জয়নাল আবেদীন ফারুক, নোয়াখালী-৩ বরকতউল্লা বুলু, নোয়াখালী-৪ মোহম্মদ শাহজাহান, নোয়াখালী-৫ ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, নোয়াখালী-৬ ফজলুল আজিম, লক্ষ্মীপুর-১ নাজিম উদ্দিন আহমদ, লক্ষ্মীপুর-২ আবুল খায়ের ভূঁইয়া, লক্ষ্মীপুর-৩ শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, চট্টগ্রাম-১ কামাল উদ্দিন চৌধুরী, চট্টগ্রাম-৩ আসলাম চৌধুরী, চট্টগ্রাম-৯ আবদুল্লাহ আল নোমান, চট্টগ্রাম-১০ আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চট্টগ্রাম-১২ সারওয়ার জামাল নিজাম, চট্টগ্রাম-১৫ জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, চট্টগ্রাম-১৬ মোস্তফা কামাল পাশা, কক্সবাজার-১ হাসিনা আহমেদ (সালাহউদ্দিন আহমেদের স্ত্রী), কক্সবাজার-৩ লুৎফর রহমান কাজল, কক্সবাজার-৪ শাহজাহান চৌধুরী, খাগড়াছড়ি-১ আবদুল ওদুদ ভূঁইয়া, রাঙামাটি-১ দীপেন দেওয়ান।
এ ছাড়া চট্টগ্রাম-১৩ আসনে একক প্রার্থী হিসেবে এলডিপির কর্নেল (অব.) অলি আহমেদের নাম রয়েছে।
২০০১ সালের ১ অক্টোবরের নির্বাচনে জামায়াতকে ৩১, বিজেপিকে সাত এবং তৎকালীন ইসলামী ঐক্যজোটকে ছয়টি আসন ছেড়ে দিয়েছিল বিএনপি। আর ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচনে চারদলীয় জোট শরিকদের জন্য বিএনপি ছেড়েছিল মোট ৪১টি আসন (জামায়াত ৩৫, বিজেপি দুই, ইসলামী ঐক্যজোট দুই, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম দুই)। এবারের প্রাথমিক খসড়া তালিকায় ইসলামী ঐক্যজোটের জন্য এখনো আসন রাখা হয়নি। তবে জমিয়তের জন্য একটি আসন রাখা হয়েছে।
মুকিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ফাঁসি কার্যকর হওয়া জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামীর আসনটি (পাবনা-১) জামায়াতকে ছেড়ে দেওয়ার বিষয়টি বিএনপির খসড়া তালিকায় উল্লেখ আছে। তবে একই পরিণতি হওয়া আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ (ফরিদপুর-৩) এবং মুহম্মদ কামারুজ্জামানের (শেরপুর-১) আসনে ছাড় দেওয়ার উল্লেখ নেই। একই অপরাধে কারাগারে থাকা জামায়াতের আরেক নেতা মাওলানা আবদুস সুবহানের আসনটিও (পাবনা-৫) জামায়াতের জন্য রাখা হয়নি। খসড়া তালিকায় ওই আসনের জন্য বিএনপিরই দুজন সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম রয়েছে। তাঁরা হলেন কামরুল হাসান মিন্টু ও শিমুল বিশ্বাস।
খসড়া তালিকায় জামায়াতের কামারুজ্জামানের আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী শিল্পপতি হযরত আলীর এবং মুজাহিদের আসনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফের নাম সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে উল্লেখ আছে। তবে জোট টিকে থাকলে নিজামীর আসনে তাঁর ছেলে ব্যারিস্টার নাদিম মোমেনকে জামায়াতের মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে। এ ছাড়া জামায়াতের কারাবন্দি নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলামের আসনটিও (রংপুর-২) দলটিকে ছেড়ে দেওয়ার ইঙ্গিত আছে।
২০ দলীয় জোটের অন্য দলগুলোর নেতাদের মধ্যে দিনাজপুর-১ আসনে জাগপা নেতা প্রয়াত শফিউল আলম প্রধানের স্ত্রী রেহানা প্রধান অথবা তাঁর মেয়ে ব্যারিস্টার তাসনিয়া প্রধানকে ছেড়ে দিচ্ছে বিএনপি। খসড়া তালিকায় দুজনের নামই আছে। দিনাজপুর-৩ আসনটিও খসড়া তালিকায় ২০ দলীয় জোট অথবা বিএনপি প্রার্থী শাহরিয়ার আক্তার হক ডনের জন্য বিকল্প হিসেবে রাখা হয়েছে। ডন বিএনপির সাবেক মন্ত্রী খুরশিদ জাহান হকের ছেলে।
খসড়া তালিকায় ২০ দলের অন্য নেতাদের মধ্যে এলডিপির সভাপতি অলি আহমদ ছাড়াও অন্য যাঁদের নাম আছে তাঁরা হলেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মুফতি মো. ওয়াক্কাস যশোর-৫ এবং বিজেপির ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ ভোলা-১। এসব আসনে বিএনপির কোনো সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম তালিকায় নেই। অন্যদিকে চট্টগ্রাম-৪ (বর্তমানে চট্টগ্রাম-৫) আসনে বিএনপির মীর মোহম্মদ নাছিরউদ্দিন ও ব্যারিস্টার শাকিলা ফারজানার সঙ্গে বিকল্প হিসেবে কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিমের নাম আছে। সমঝোতা হলে সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিমকেই মনোনয়ন দেওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এ ছাড়া কুমিল্লা-৭ আসনে বিএনপির আতিকুল আলম শাওনের বিকল্প হিসেবে এলডিপি মহাসচিব রেদোয়ান আহমেদ, কুমিল্লা-১১ আসনে প্রয়াত কাজী জাফর আহমেদের মেয়ে জয়া কাজী আহম্মেদ এবং জামায়াতের ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের এ দুজনকেই বিকল্প হিসেবে রাখা হয়েছে। লক্ষ্মীপুর-১ আসনে বিএনপির নাজিমউদ্দিন আহম্মদের বিকল্প হিসেবে নাম আছে এলডিপির শাহাদাত হোসেন সেলিমের। তাঁর মনোনয়নের ব্যাপারে বিএনপির প্রতিশ্রুতি রয়েছে বলে জানা যায়।
নীলফামারী-১ আসনে ন্যাপের চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানির পাশাপাশি বিএনপির বিকল্প প্রার্থী শাহরিন ইসলাম তুহিনের নাম রয়েছে। তবে এক-এগারোর পর থেকে তুহিন পলাতক আছেন। পিরোজপুর-১ আসনে ২০ দলীয় জোটের সম্ভাব্য তিন প্রার্থীর নাম রয়েছে। তাঁরা হলেন জাতীয় পার্টির (জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, জামায়াতের দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ছেলে মাসুদ সাঈদী এবং লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান ইরান।
জামায়াতকে ছেড়ে দেওয়া একক আসন
বিএনপির তালিকা অনুযায়ী দিনাজপুর-৬ (গত নির্বাচনে জামায়াতের প্রার্থী আনোয়ারুল ইসলাম), নীলফামারী-২ (গত নির্বাচনে মনিরুজ্জামান মন্টু), নীলফামারী-৩ (গত নির্বাচনে আজিজুল ইসলাম), রংপুর-১ (অধ্যক্ষ মো. আবদুল গনি), রংপুর-২ (গত নির্বাচনে এ টি এম আজহারুল ইসলাম), রংপুর-৫ (শাহ মো. হাফিজুর রহমান), গাইবান্ধা-১ (আবু সালেহ মো. আবদুল আজিজ), গাইবান্ধা-৪ (ডা. আবদুর রহিম সরকার), খুলনা-৫ (মিয়া গোলাম পরওয়ার) সাতক্ষীরা-৩ (এম এ রিয়াছাত আলী), সাতক্ষীরা-৪ (জি এম নজরুল ইসলাম), সিলেট-৫ (ফরিদউদ্দিন চৌধুরী) এবং চট্টগ্রাম-১৪ (আ ন ম শামসুল ইসলাম) আসনে ছাড় পাবে জামায়াত।
এ ছাড়া গত তিনটি নির্বাচনের ফল এবং সাংগঠনিক সক্ষমতা পর্যালোচনা করে কিছু আসনে বিএনপি ও ২০ দলীয় জোটের বিকল্প প্রার্থী রাখা হয়েছে, যেগুলো দর-কষাকষি ও সমঝোতার মাধ্যমে চূড়ান্ত হবে।
লালমনিরহাট-১ আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী হাসান রাজিব প্রধানের বিকল্প হিসেবে জোট প্রার্থী (গত নির্বাচনে ছিলেন জামায়াতের হাবিবুর রহমান), গাইবান্ধা-৩ আসনে জামায়াতের (গত নির্বাচনে আবু কাওছার মো. নজরুল ইসলাম) বিকল্প হিসেবে বিএনপির ডা. মাইনুল হাসান সাদিক, যশোর-১ আসনে ২০ দলের (গত নির্বাচনে জামায়াতের আজিজুর রহমান) বিকল্প বিএনপির মফিকুল হাসান তৃপ্তি, যশোর-২ আসনে ২০ দলের (জামায়াতের আবু সাঈদ মুহ. শাহাদত হুসাইন) বিকল্প বিএনপির মিজানুর রহমান খান, বাগেরহাট-৩ আসনে বিএনপির ড. শেখ ফরিদুল ইসলামের বিকল্প ২০ দলের (জামায়াতের মো. আবদুল ওয়াদুদ শেখ), বাগেরহাট-৪ আসনে ২০ দলের (গত নির্বাচনে মো. শহিদুল ইসলাম) বিকল্প হিসেবে বিএনপির কাজী খায়রুজ্জামান শিপন, খুলনা-৬ আসনে ২০ দলের (গত নির্বাচনে জামায়াতের শাহ মো. রুহুল কুদ্দুস) বিকল্প বিএনপির শফিকুল ইসলাম মনা, সাতক্ষীরা-২ আসনে ২০ দলের (গত নির্বাচনে জামায়াতের মো. আবদুল খালেক মণ্ডল, এখন কারাগারে) বিকল্প বিএনপির ডা. শহিদুল ইসলাম, কক্সবাজার-২ আসনে জামায়াতের হামিদুর রহমান আযাদের বিকল্প হিসেবে বিএনপির আলমগীর মাহফুজুল্লাহর নাম রয়েছে।
একই আসনে বিএনপির সম্ভাব্য দুই প্রার্থী
বেশ কিছু আসনে বিএনপির একাধিক শক্তিশালী প্রার্থী থাকায় খসড়া তালিকায় একক নাম স্থান পায়নি। তালিকায় সম্ভাব্য দুজনের নাম রাখা হয়েছে। সম্ভাব্য ওই প্রার্থীরা হলেন—
দিনাজপুর-৪ আখতারুজ্জামান মিয়া অথবা হাফিজুর রহমান, নীলফামারী-৪ আমজাদ হোসেন সরকার অথবা শিল্পী বেবী নাজনীন, রংপুর-৩ মোজাফফর হোসেন অথবা রিটা রহমান, কুড়িগ্রাম-৪ আজিজুর রহমান অথবা মোখলেসুর রহমান, গাইবান্ধা-২ কমোডর শফিকুর রহমান অথবা আনিসুজ্জামান বাবু, গাইবান্ধা-৫ হাসান আলী অথবা মোহাম্মদ আলী, জয়পুরহাট-১ ফয়সল আলীম অথবা ফজলুর রহমান, বগুড়া-৪ জেড আই এম মোস্তফা আলী অথবা ডা. জিয়াউল হক মোল্লা, বগুড়া-৫ জানে আলম খোকা অথবা শফিউজ্জামান খোকন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ অধ্যাপক শাহজাজান মিয়া ও সৈয়দ শাহিন শওকত, নওগাঁ-৬ আনোয়ার হোসেন ও আলমগীর কবির, রাজশাহী-৩ কবির হোসেন ও সৈয়দ শাহীন শওকত, রাজশাহী-৪ আবদুল গফুর ও আবু হেনা, রাজশাহী-৬ আবু সাঈদ চান ও দেবাশীষ রায় মধু, নাটোর-৪ মো. মোজাম্মেল হক ও আবদুর রশীদ, সিরাজগঞ্জ-১ কণ্ঠশিল্পী কনকচাঁপা ও আবদুল মজিদ, সিরাজগঞ্জ-৫ রাকিবুল ইসলাম খান পাপ্পু ও আমীরুল ইসলাম খান আলীম, সিরাজগঞ্জ-৬ কামরুদ্দিন ইয়াহিয়া খান মজলিস ও ডা. এম এ মুহিত (ডা. মতিনের ছেলে), পাবনা-৫ কামরুল হাসান মিন্টু ও শিমুল বিশ্বাস, কুষ্টিয়া-২ অধ্যাপক শহিদুল ইসলাম ও ব্যারিস্টার রাগিব রউফ চৌধুরী, মাগুরা-১ ইকবাল আকতার খান কাফুর ও কবির মুরাদ, নড়াইল-১ বিশ্বাস জাহাঙ্গির আলম ও ডা. মনিরুল ইসলাম টিপু, বাগেরহাট-২ মনিরুল ইসলাম খান ও এম এ সালাম, খুলনা-৩ কাজী সেকেন্দার আলী ডালিম ও রফিকুল ইসলাম বকুল, বরগুনা-১ মতিয়ার রহমান তালুকদার ও অ্যাডভোকেট মজিদ মল্লিক, পটুয়াখালী-৩ শাহজাহান খান ও গোলাম মওলা রনি, বরিশাল-১ জহিরউদ্দিন স্বপন ও ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সোবহান, বরিশাল-২ সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল ও সরদার সরফুদ্দিন আহমদ, বরিশাল-৩ সেলিমা রহমান ও অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন, ঝালকাঠি-২ মাহবুবুল হক নান্নু ও ইসরাত সুলতানা ইলেন ভুট্টো, পিরোজপুর-২ গাজী নুরুজ্জামান বাবুল ও সোহেল মঞ্জুর সুমন, পিরোজপুর-৩ কর্নেল (অব.) শাহজাহান মিলন ও ডা. রুস্তম আলী ফরাজী, টাঙ্গাইল-৬ অ্যাডভোকেট গৌতম চক্রবর্তী ও নূর মোহম্মদ খান, জামালপুর-১ রশীদ জামান মিল্লাত ও শহিদা আক্তার রিতা, জামালপুর-২ সুলতান মাহমুদ বাবু ও আবদুল হালিম, জামালপুর-৫ নিলোফার চৌধুরী মনি ও ওয়ারেস আলী মামুন, ময়মসসিংহ-১ এমরান সালেহ প্রিন্স ও আফজল এইচ খান, ময়মনসিংহ-৪ ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন ও এ কে এম মোশাররফ হোসেন, ময়মনসিংহ-৫ এ কে এম মোশাররফ হোসেন ও জাকির হোসেন বাবলু, ময়মনসিংহ-১০ এ বি এম সিদ্দিকুর রহমান ও মুশফিকুর রহমান (ফজলুর রহমান সুলতানের ছেলে), নেত্রকোনা-১ ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, গোলাম রাব্বানী ও আবদুল করিম আব্বাসী, নেত্রকোনা-৩ রফিকুল ইসলাম হিলালী ও দেলোয়ার হোসেন দুলাল, নেত্রকোনা-৪ লুৎফুজ্জামান বাবরের স্ত্রী তাহমিনা জামান ও সৈয়দ আতাউল হক, নেত্রকোনা-৫ রাবেয়া আলী ও আবু তাহের তালুকদার, কিশোরগঞ্জ-১ রেজাউল করিম খান চুন্নু ও মাসুদ হেলালী, মানিকগঞ্জ-১ খন্দকার আখতার হামিদ ডাবলু ও ড. খন্দকার আকবর হোসেন বাবলু, মুন্সীগঞ্জ-৩ আবদুল হাই ও কামরুজ্জামান রতন, ঢাকা-৬ সাদেক হোসেন খোকা, না করলে ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন, ঢাকা-৯ আফরোজা আব্বাস ও শিরিন সুলতানা, ঢাকা-১১ মো. শাহাবুদ্দিন ও সাইফুল আলম নিরব, ঢাকা-১৪ এস এ খালেক, না করলে তাঁর ছেলে সাজু খালেক, ঢাকা-২০ ব্যারিস্টার জিয়াউর রহমান খান ও মিসেস সুলতানা আহমেদ, গাজীপুর-১ আসনে মো. মজিবুর রহমান ও কাজী সাইদুল আলম বাবুল, নরসিংদী-৩ মঞ্জুর এলাহী, অ্যাডভোকেট সানাউল্লা মিয়া ও তোফাজ্জল হোসেন মাস্টার, নরসিংদী-৪ সরদার সাখাওয়াত হোসেন বকুল ও লে. কর্নেল (অব.) জয়নুল আবেদিন, নারায়ণগঞ্জ-১ অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার ও কাজী মনিরুজ্জামান, নারায়ণগঞ্জ-২ আতাউর রহমান খান ও বদরুজ্জামান খান, নারায়ণগঞ্জ-৩ অধ্যাপক রেজাউল করিম ও আজহারুল ইসলাম মান্নান, নারায়ণগঞ্জ-৪ শাহ আলম ও মো. গিয়াসউদ্দিন, গোপালগঞ্জ-১ মেজর জে. (অব.) মহব্বত জান চৌধুরী ও সেলিমুজ্জামান সেলিম, শরীয়তপুর-১ তাহমিনা আওরঙ্গ ও শহিদুল হক সিকদার, শরীয়তপুর-২ সুলতান মাহমুদ ও শফিকুর রহমান, সুনামগঞ্জ-১ ডা. রফিক চৌধুরী অথবা নজির হোসেন, সুনামগঞ্জ-৩ কয়সর আহমেদ ও নুরুল ইসলাম সাজু, সুনামগঞ্জ-৫ মিজানুর রহমান চৌধুরী ও কলিমউদ্দিন মিলন, সিলেট-৪ দিলদার হোসেন সেলিম ও অ্যাডভোকেট শামসুজ্জামান, সিলেট-৬ এনাম আহম্মদ চৌধুরী ও ফয়সল আহমেদ চৌধুরী, মৌলভীবাজার-২ এম এম শাহীন ও অ্যাডভোকেট আবেদ রাজা, হবিগঞ্জ-৩ জি কে গউস ও আবু লেইস মবিন চৌধুরী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ অ্যাডভোকেট হারুন-অর-রশীদ ও খালেদ মাহমুদ শ্যামল, ব্রাক্ষণবাড়িয়া-৫ কাজী তাপস ও তকদির হোসেন মো. জসিম, ব্রাক্ষণবাড়িয়া-৬ রফিক শিকদার ও এম এ খালেক, কুমিল্লা-৩ শাহ মোফাজ্জল হোসাইন কায়কোবাদ, না করলে তাঁর ভাই জুন্নন বশরী, কুমিল্লা-৯ কর্নেল (অব.) আনোয়ারুল আজিম ও আবুল কালাম, কুমিল্লা-১০ মনিরুল হক চৌধুরী ও আ. গফুর ভূঁইয়া, চাঁদপুর-১ এহসানুল হক মিলন ও তাঁর স্ত্রী বেবী, চাঁদপুর-২ তানবির হুদা ও জালাল আহম্মদ, চট্টগ্রাম-২ ফরহাত কাদের চৌধুরী, সাংবাদিক কাদের গনি চৌধুরী ও ডা. খুরশিদ জামিল চৌধুরী, চট্টগ্রাম-৫ গিয়াসউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও গোলাম আকবর খন্দকার, চট্টগ্রাম-৬ হুম্মাম কাদের চৌধুরী ও ফরহাত কাদের চৌধুরী, চট্টগ্রাম-৭ মঞ্জুর মোর্শেদ খান ও আবু সুফিয়ান, চট্টগ্রাম-৮ ডা. শাহাদৎ হোসেন ও এরশাদ উল্লাহ, চট্টগ্রাম-১১ গাজী মো. শাহজাহান ও এনামুল হক এনাম, কক্সবাজার-১ সালাহ উদ্দিন আহমেদ (ভারতে আছেন), না করতে পারলে তাঁর স্ত্রী হাসিনা আহমেদ এবং বান্দরবান-১ সা চিন প্রু
আন্দোলনের পাশাপাশি নির্বাচনী প্রস্তুতির অংশ হিসেবে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দল ও জোটের সম্ভাব্য প্রার্থীদের একটি খসড়া তালিকা তৈরি করে রেখেছে বিএনপি। কালের কণ্ঠ’র হাতে আসা ওই তালিকায় দেখা যায়, জামায়াতসহ ২০ দলীয় জোটের শরিক দলগুলোকে ১৮টি আসনে পুরোপুরি ছাড় দেওয়া হতে পারে।
আর ২০ দলীয় জোটের শরিক দল অথবা বিকল্প হিসেবে বিএনপির প্রার্থীর নাম উল্লেখ আছে ১১টি আসনে। সমঝোতা হলে সব মিলিয়ে ৩১টি আসন শরিক দলগুলোকে ছেড়ে দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় রেখে প্রাথামিকভাবে ওই খসড়া তালিকা করেছে বিএনপি।
তবে দলটির শীর্ষ পর্যায়ের একাধিক নেতা আলাপকালে কালের কণ্ঠকে বলেছেন, ওই তালিকাই চূড়ান্ত নয়। জোটভুক্ত দলগুলোর সঙ্গে দরকষাকষি এবং বিএনপির মনোনয়ন বোর্ডের সভায় আলোচনার পর তালিকায় কিছু পরিবর্তন আসতে পারে। আবার যুক্তফ্রন্ট, গণফোরামসহ বৃহত্তর ঐক্যে আগ্রহী দলগুলোর সঙ্গে শেষ পর্যন্ত নির্বাচনী জোট হলেও তালিকায় বড় ধরনের পরিবর্তন আসবে। এমন ক্ষেত্রে অবশ্য বিএনপিই বেশি ছাড় দেওয়ার চিন্তা করছে। সম্ভাব্য বৃহত্তর ঐক্যের কথা বিবেচনায় রেখেই তালিকায় বগুড়া-২ আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী এ কে এম হাফিজুর রহমানের বিকল্প হিসেবে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নার নাম রাখা হয়েছে। একইভাবে মুন্সীগঞ্জ-১ আসনে বিএনপির শাহ মোয়াজ্জেম হোসেনের বিকল্প হিসেবে বিকল্প ধারার সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাহী বি চৌধুরীর (বদরুদ্দোজা চৌধুরী নির্বাচন করবেন না বলে জানিয়েছেন) নাম, ঢাকা-১২ আসনে বিএনপির ব্যারিস্টার নাসিরউদ্দিন অসীমের বিকল্প হিসেবে গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনের নাম এবং লক্ষ্মীপুর-৪ আসনে বিএনপির এ বি এম আশরাফ উদ্দিন নিজানের আসনে জেএসডি সভাপতি আ স ম রবের নাম রাখা হয়েছে। টাঙ্গাইল-৮ আসনে বিএনপির আহমেদ আজম খানের বিকল্প হিসেবে রাখা হয়েছে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর নাম।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান কালের কণ্ঠকে বলেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মতো দলে সব সময়ই নির্বাচনের প্রস্তুতি থাকে। কিন্তু তালিকা প্রণয়নের বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তিনি জানান, নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হলে মনোনয়ন দিতে সময় লাগবে না। দ্রুত সময়ের মধ্যেই এ কাজ সম্পন্ন করা যাবে।
১৭৩ আসনে বিএনপির সম্ভাব্য একক প্রার্থী
পঞ্চগড়-১ ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার (নির্বাচন না করলে ছেলে ব্যারিস্টার নওশাদ জমির), পঞ্চগড়-২ ফরহাদ হোসেন আজাদ, ঠাকুরগাঁও-১ মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ঠাকুরগাঁও-২ মির্জা ফয়সাল আমিন, ঠাকুরগাঁও-৩ জাহিদুর রহমান, দিনাজপুর-২ লে. জে. (অব.) মাহবুবুর রহমান, দিনাজপুর-৫ রেজাওয়ানুল হক, লালমনিরহাট-২ সালেহ উদ্দিন হেলাল, লালমনিরহাট-৩ আসাদুল হাবিব দুলু, রংপুর-৪ এমদাদুল হক ভরসা, রংপুর-৬ নূর মোহম্মদ মণ্ডল, কুড়িগ্রাম-১ সাইফুর রহমান রানা, কুড়িগ্রাম-২ অ্যাডভোকেট রুহুল কবীর রিজভী, কুড়িগ্রাম-৩ তসবিরুল ইসলাম, জয়পুরহাট-২ ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোস্তফা, বগুড়া-১ মো. শোকরানা, বগুড়া-২ আবদুল মোমিন তালুকদার খোকা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আমিনুল ইসলাম, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ হারুনুর রশীদ, নওগাঁ-১ ডা. ছালেক চৌধুরী, নওগাঁ-২ সামসুজ্জোহা খান, নওগাঁ-৩ পারভেজ আরেফিন সিদ্দিকী, নওগাঁ-৪ শামসুল আলম প্রামাণিক, নওগাঁ-৫ লে. কর্নেল (অব.) আবদুল লতিফ খান, রাজশাহী-১ ব্যারিস্টার আমিনুল হক, রাজশাহী-২ মিজানুর রহমান মিনু, রাজশাহী-৫ অ্যাডভোকেট নাদিম মোস্তফা, নাটোর-১ প্রয়াত ফজলুর রহমানের স্ত্রী কামরুন্নাহার শিরিন, নাটোর-২ অ্যাডভোকেট রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, নাটোর-৩ কাজী গোলাম মোর্শেদ, সিরাজগঞ্জ-২ ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, সিরাজগঞ্জ-৩ আব্দুল মান্নান তালুকদার, সিরাজগঞ্জ-৪ এম আকবর আলী, পাবনা-২ এ কে এম সেলিম রেজা, পাবনা-৩ কে এম আনোয়ারুল ইসলাম, পাবনা-৪ হাবিবুর রহমান হাবিব, মেহেরপুর-১ মাসুদ অরুন, মেহেরপুর-২ আমজাদ হোসেন, কুষ্টিয়া-১ রেজা আহম্মেদ বাচ্চু মোল্লা, কুষ্টিয়া-৩ অধ্যক্ষ সোহরাব হোসেন, কুষ্টিয়া-৪ সৈয়দ মেহেদী আহম্মেদ রুমি, চুয়াডাঙ্গা-১ শামসুজ্জামান দুদু, চুয়াডাঙ্গা-২ মাহমুদ হাসান বাবু, ঝিনাইদহ-১ আব্দুল ওহাব, ঝিনাইদহ-২ মশিউর রহমান, ঝিনাইদহ-৩ কণ্ঠশিল্পী মনির খান, ঝিনাইদহ-৪ শহিদুজ্জামান বেল্টু, যশোর-৩ এম তরিকুল ইসলাম (নির্বাচন না করলে তাঁর ছেলে অনিন্দ্য ইসলাম অমিত), যশোর-৪ টি এস আইউব, যশোর-৬ আবুল হোসেন আজাদ, মাগুরা-২ অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী, বাগেরহাট-১ শেখ ওয়াহিদুজ্জামান দ্বীপু, খুলনা-১ আমির এজাজ খান, খুলনা-২ নজরুল ইসলাম মঞ্জু, খুলনা-৪ আজিজুল বারী হেলাল, সাতক্ষীরা-১ হাবিবুল ইসলাম হাবিব, বরগুনা-২ অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, পটুয়াখালী-১ এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, পটুয়াখালী-২ এ কে এম ফারুক হোসেন তালুকদার, পটুয়াখালী-৪ এ বি এম মোশাররফ হোসেন, ভোলা-২ হাফিজ ইব্রাহিম, ভোলা-৩ মেজর (অব.) হাফিজউদ্দিন আহমেদ, ভোলা-৪ নাজিম উদ্দিন আলম, বরিশাল-৪ মেজবাউদ্দিন ফরহাদ, বরিশাল-৫ মজিবুর রহমান সরোয়ার, বরিশাল-৬ আবুল হোসেন খান, ঝালকাঠি-১ ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, টাঙ্গাইল-১ ফকির মাহবুব আলম স্বপন, টাঙ্গাইল-২ সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, টাঙ্গাইল-৩ লুৎফর রহমান খান আজাদ, টাঙ্গাইল-৪ লুৎফর রহমান মতিন, টাঙ্গাইল-৫ মেজর জেনারেল (অব.) মাহমুদুল হাসান, টাঙ্গাইল-৭ আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী, জামালপুর-৩ মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, জামালপুর-৪ ফরিদুল তালুকদার শামীম, শেরপুর-২ প্রকৌকশী ফাহিম চৌধুরী, শেরপুর-৩ মাহমুদুল হক রুবেল, ময়মনসিংহ-২ শাহ শহীদ সারওয়ার, ময়মনসিংহ-৩ ইঞ্জিনিয়ার ইকবাল হোসেন, ময়মনসিংহ-৬ ইঞ্জিনিয়ার শামসুদ্দিন আহমেদ, ময়মনসিংহ-৭ ডা. মাহবুবুর রহমান লিটন, ময়মনসিংহ-৮ নুরুল কবীর শাহীন, ময়মনসিংহ-৯ খুররম খান চৌধুরী, ময়মনসিংহ-১১ ফখরুদ্দিন আহম্মদ বাচ্চু, নেত্রোকোনো-২ আশরাফ উদ্দিন খান, কিশোরগঞ্জ-২ মেজর (অব.) আখতারুজ্জামান রঞ্জন, কিশোরগঞ্জ-৩ ড. ওসমান ফারুক, কিশোরগঞ্জ-৪ অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান, কিশোরগঞ্জ-৫ শেখ মুজিবুর রহমান ইকবাল, কিশোরগঞ্জ-৬ শরিফুল আলম, মানিকগঞ্জ-২ আফরোজা খান রিতা, মানিকগঞ্জ-৩ মাইনুল ইসলাম শান্ত, মুন্সীগঞ্জ-২ মিজানুর রহমান সিনহা, ঢাকা-১ আবদুল মান্নান, ঢাকা-২ আমানউল্লাহ আমান, ঢাকা-৩ গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ঢাকা-৪ সালাহউদ্দিন আহম্মদ, ঢাকা-৫ নবী উল্লাহ নবী, ঢাকা-৭ কল্পনা (নাসিরউদ্দিন পিন্টুর স্ত্রী), ঢাকা-৮ মির্জা আব্বাস, ঢাকা-৯ এম এ কাইয়ুম, ঢাকা-১৩ আবদুস সালাম, ঢাকা-১৫ সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ঢাকা-১৬ আহসান উল্লাহ হাসান, ঢাকা-১৭ মেজর জেনারেল (অব.) রুহুল আলম চৌধুরী, ঢাকা-১৮ মেজর (অব.) কামরুল ইসলাম, ঢাকা-১৯ ডা. দেওয়ান সালাউদ্দিন, গাজীপুর-২ হাসান উদ্দিন সরকার, গাজীপুর-৩ কাজী সাইদুল ইসলাম বাবুল, গাজুীপুর-৫ ফজলুল হক মিলন, নরসিংদী-১ খায়রুল কবীর খোকন, নরসিংদী-২ ড. আবদুল মঈন খান, নরসিংদী-৫ জামাল আহম্মদ চৌধুরী, নারায়ণগঞ্জ-৫ আবুল কালাম, রাজবাড়ী-১ আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়াম, রাজবাড়ী-২ নাসিরুল হক সাবু, ফরিদপুর-১ শাহ মোহম্মদ আবু জাফর, ফরিদপুর-২ শামা ওবায়েদ ইসলাম রিংকু, ফরিদপুর-৩ চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, ফরিদপুর-৪ চৌধুরী আকমল ইবনে ইউসুফ, গোপালগঞ্জ-২ এম এইচ খান মঞ্জু, গোপালগঞ্জ-৩ এস এম জিলানী, মাদারীপুর-১ খলিলুর রহমান চৌধুরী ঠাণ্ডু, মাদারীপুর-২ হেলেন জেরিন খান, মাদারীপুর-৩ মাসুকুর রহমান মাশুক, শরীয়তপুর-৩ শফিকুর রহমান কিরন, সুনামগঞ্জ-২ নাসিরউদ্দিন চৌধুরী, সুনামগঞ্জ-৪ ফজলুল হক আসপিয়া, সিলেট-১ খন্দকার আবদুল মুক্তাদির, সিলেট-২ লুনা ইলিয়াস, সিলেট-৩ শফি আহমেদ চৌধুরী, মৌলভীবাজার-১ এবাদুর রহমান চৌধুরী, মৌলভীবাজার-৩ এম নাসের রহমান, মৌলভীবাজার-৪ হাজী মুজিবুর রহমান চৌধুরী, হবিগঞ্জ-১ শেখ সুজাত মিয়া, হবিগঞ্জ-২ ডা. সাখাওয়াত হোসেন খান জীবন, হবিগঞ্জ-৪ সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়সল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ একরামুজ্জামান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ উকিল আবদুস সাত্তার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ মুশফিকুর রহমান, কুমিল্লা-১ ও কুমিল্লা-২ ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, কুমিল্লা-৪ মঞ্জুরুল আহসান মুন্সী, কুমিল্লা-৫ শওকত মাহমুদ (সাংবাদিক), কুমিল্লা-৬ আমিনুর রশিদ ইয়াসিন, কুমিল্লা-৮ জাকারিয়া সুমন তাহের, চাঁদপুর-৩ শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক, চাঁদপুর-৪ হারুনুর রশিদ, চাঁদপুর-৫ ইঞ্জিনিয়ার মমিনুল হক, ফেনী-১ খালেদা জিয়া, ফেনী-২ ভিপি জয়নাল আবেদীন, ফেনী-২ আবদুল আউয়াল মিন্টু, নোয়াখালী-১ ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, নোয়াখালী-২ জয়নাল আবেদীন ফারুক, নোয়াখালী-৩ বরকতউল্লা বুলু, নোয়াখালী-৪ মোহম্মদ শাহজাহান, নোয়াখালী-৫ ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, নোয়াখালী-৬ ফজলুল আজিম, লক্ষ্মীপুর-১ নাজিম উদ্দিন আহমদ, লক্ষ্মীপুর-২ আবুল খায়ের ভূঁইয়া, লক্ষ্মীপুর-৩ শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, চট্টগ্রাম-১ কামাল উদ্দিন চৌধুরী, চট্টগ্রাম-৩ আসলাম চৌধুরী, চট্টগ্রাম-৯ আবদুল্লাহ আল নোমান, চট্টগ্রাম-১০ আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চট্টগ্রাম-১২ সারওয়ার জামাল নিজাম, চট্টগ্রাম-১৫ জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, চট্টগ্রাম-১৬ মোস্তফা কামাল পাশা, কক্সবাজার-১ হাসিনা আহমেদ (সালাহউদ্দিন আহমেদের স্ত্রী), কক্সবাজার-৩ লুৎফর রহমান কাজল, কক্সবাজার-৪ শাহজাহান চৌধুরী, খাগড়াছড়ি-১ আবদুল ওদুদ ভূঁইয়া, রাঙামাটি-১ দীপেন দেওয়ান।
এ ছাড়া চট্টগ্রাম-১৩ আসনে একক প্রার্থী হিসেবে এলডিপির কর্নেল (অব.) অলি আহমেদের নাম রয়েছে।
২০০১ সালের ১ অক্টোবরের নির্বাচনে জামায়াতকে ৩১, বিজেপিকে সাত এবং তৎকালীন ইসলামী ঐক্যজোটকে ছয়টি আসন ছেড়ে দিয়েছিল বিএনপি। আর ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচনে চারদলীয় জোট শরিকদের জন্য বিএনপি ছেড়েছিল মোট ৪১টি আসন (জামায়াত ৩৫, বিজেপি দুই, ইসলামী ঐক্যজোট দুই, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম দুই)। এবারের প্রাথমিক খসড়া তালিকায় ইসলামী ঐক্যজোটের জন্য এখনো আসন রাখা হয়নি। তবে জমিয়তের জন্য একটি আসন রাখা হয়েছে।
মুকিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ফাঁসি কার্যকর হওয়া জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামীর আসনটি (পাবনা-১) জামায়াতকে ছেড়ে দেওয়ার বিষয়টি বিএনপির খসড়া তালিকায় উল্লেখ আছে। তবে একই পরিণতি হওয়া আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ (ফরিদপুর-৩) এবং মুহম্মদ কামারুজ্জামানের (শেরপুর-১) আসনে ছাড় দেওয়ার উল্লেখ নেই। একই অপরাধে কারাগারে থাকা জামায়াতের আরেক নেতা মাওলানা আবদুস সুবহানের আসনটিও (পাবনা-৫) জামায়াতের জন্য রাখা হয়নি। খসড়া তালিকায় ওই আসনের জন্য বিএনপিরই দুজন সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম রয়েছে। তাঁরা হলেন কামরুল হাসান মিন্টু ও শিমুল বিশ্বাস।
খসড়া তালিকায় জামায়াতের কামারুজ্জামানের আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী শিল্পপতি হযরত আলীর এবং মুজাহিদের আসনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফের নাম সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে উল্লেখ আছে। তবে জোট টিকে থাকলে নিজামীর আসনে তাঁর ছেলে ব্যারিস্টার নাদিম মোমেনকে জামায়াতের মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে। এ ছাড়া জামায়াতের কারাবন্দি নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলামের আসনটিও (রংপুর-২) দলটিকে ছেড়ে দেওয়ার ইঙ্গিত আছে।
২০ দলীয় জোটের অন্য দলগুলোর নেতাদের মধ্যে দিনাজপুর-১ আসনে জাগপা নেতা প্রয়াত শফিউল আলম প্রধানের স্ত্রী রেহানা প্রধান অথবা তাঁর মেয়ে ব্যারিস্টার তাসনিয়া প্রধানকে ছেড়ে দিচ্ছে বিএনপি। খসড়া তালিকায় দুজনের নামই আছে। দিনাজপুর-৩ আসনটিও খসড়া তালিকায় ২০ দলীয় জোট অথবা বিএনপি প্রার্থী শাহরিয়ার আক্তার হক ডনের জন্য বিকল্প হিসেবে রাখা হয়েছে। ডন বিএনপির সাবেক মন্ত্রী খুরশিদ জাহান হকের ছেলে।
খসড়া তালিকায় ২০ দলের অন্য নেতাদের মধ্যে এলডিপির সভাপতি অলি আহমদ ছাড়াও অন্য যাঁদের নাম আছে তাঁরা হলেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মুফতি মো. ওয়াক্কাস যশোর-৫ এবং বিজেপির ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ ভোলা-১। এসব আসনে বিএনপির কোনো সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম তালিকায় নেই। অন্যদিকে চট্টগ্রাম-৪ (বর্তমানে চট্টগ্রাম-৫) আসনে বিএনপির মীর মোহম্মদ নাছিরউদ্দিন ও ব্যারিস্টার শাকিলা ফারজানার সঙ্গে বিকল্প হিসেবে কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিমের নাম আছে। সমঝোতা হলে সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিমকেই মনোনয়ন দেওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এ ছাড়া কুমিল্লা-৭ আসনে বিএনপির আতিকুল আলম শাওনের বিকল্প হিসেবে এলডিপি মহাসচিব রেদোয়ান আহমেদ, কুমিল্লা-১১ আসনে প্রয়াত কাজী জাফর আহমেদের মেয়ে জয়া কাজী আহম্মেদ এবং জামায়াতের ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের এ দুজনকেই বিকল্প হিসেবে রাখা হয়েছে। লক্ষ্মীপুর-১ আসনে বিএনপির নাজিমউদ্দিন আহম্মদের বিকল্প হিসেবে নাম আছে এলডিপির শাহাদাত হোসেন সেলিমের। তাঁর মনোনয়নের ব্যাপারে বিএনপির প্রতিশ্রুতি রয়েছে বলে জানা যায়।
নীলফামারী-১ আসনে ন্যাপের চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানির পাশাপাশি বিএনপির বিকল্প প্রার্থী শাহরিন ইসলাম তুহিনের নাম রয়েছে। তবে এক-এগারোর পর থেকে তুহিন পলাতক আছেন। পিরোজপুর-১ আসনে ২০ দলীয় জোটের সম্ভাব্য তিন প্রার্থীর নাম রয়েছে। তাঁরা হলেন জাতীয় পার্টির (জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, জামায়াতের দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ছেলে মাসুদ সাঈদী এবং লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান ইরান।
জামায়াতকে ছেড়ে দেওয়া একক আসন
বিএনপির তালিকা অনুযায়ী দিনাজপুর-৬ (গত নির্বাচনে জামায়াতের প্রার্থী আনোয়ারুল ইসলাম), নীলফামারী-২ (গত নির্বাচনে মনিরুজ্জামান মন্টু), নীলফামারী-৩ (গত নির্বাচনে আজিজুল ইসলাম), রংপুর-১ (অধ্যক্ষ মো. আবদুল গনি), রংপুর-২ (গত নির্বাচনে এ টি এম আজহারুল ইসলাম), রংপুর-৫ (শাহ মো. হাফিজুর রহমান), গাইবান্ধা-১ (আবু সালেহ মো. আবদুল আজিজ), গাইবান্ধা-৪ (ডা. আবদুর রহিম সরকার), খুলনা-৫ (মিয়া গোলাম পরওয়ার) সাতক্ষীরা-৩ (এম এ রিয়াছাত আলী), সাতক্ষীরা-৪ (জি এম নজরুল ইসলাম), সিলেট-৫ (ফরিদউদ্দিন চৌধুরী) এবং চট্টগ্রাম-১৪ (আ ন ম শামসুল ইসলাম) আসনে ছাড় পাবে জামায়াত।
এ ছাড়া গত তিনটি নির্বাচনের ফল এবং সাংগঠনিক সক্ষমতা পর্যালোচনা করে কিছু আসনে বিএনপি ও ২০ দলীয় জোটের বিকল্প প্রার্থী রাখা হয়েছে, যেগুলো দর-কষাকষি ও সমঝোতার মাধ্যমে চূড়ান্ত হবে।
লালমনিরহাট-১ আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী হাসান রাজিব প্রধানের বিকল্প হিসেবে জোট প্রার্থী (গত নির্বাচনে ছিলেন জামায়াতের হাবিবুর রহমান), গাইবান্ধা-৩ আসনে জামায়াতের (গত নির্বাচনে আবু কাওছার মো. নজরুল ইসলাম) বিকল্প হিসেবে বিএনপির ডা. মাইনুল হাসান সাদিক, যশোর-১ আসনে ২০ দলের (গত নির্বাচনে জামায়াতের আজিজুর রহমান) বিকল্প বিএনপির মফিকুল হাসান তৃপ্তি, যশোর-২ আসনে ২০ দলের (জামায়াতের আবু সাঈদ মুহ. শাহাদত হুসাইন) বিকল্প বিএনপির মিজানুর রহমান খান, বাগেরহাট-৩ আসনে বিএনপির ড. শেখ ফরিদুল ইসলামের বিকল্প ২০ দলের (জামায়াতের মো. আবদুল ওয়াদুদ শেখ), বাগেরহাট-৪ আসনে ২০ দলের (গত নির্বাচনে মো. শহিদুল ইসলাম) বিকল্প হিসেবে বিএনপির কাজী খায়রুজ্জামান শিপন, খুলনা-৬ আসনে ২০ দলের (গত নির্বাচনে জামায়াতের শাহ মো. রুহুল কুদ্দুস) বিকল্প বিএনপির শফিকুল ইসলাম মনা, সাতক্ষীরা-২ আসনে ২০ দলের (গত নির্বাচনে জামায়াতের মো. আবদুল খালেক মণ্ডল, এখন কারাগারে) বিকল্প বিএনপির ডা. শহিদুল ইসলাম, কক্সবাজার-২ আসনে জামায়াতের হামিদুর রহমান আযাদের বিকল্প হিসেবে বিএনপির আলমগীর মাহফুজুল্লাহর নাম রয়েছে।
একই আসনে বিএনপির সম্ভাব্য দুই প্রার্থী
বেশ কিছু আসনে বিএনপির একাধিক শক্তিশালী প্রার্থী থাকায় খসড়া তালিকায় একক নাম স্থান পায়নি। তালিকায় সম্ভাব্য দুজনের নাম রাখা হয়েছে। সম্ভাব্য ওই প্রার্থীরা হলেন—
দিনাজপুর-৪ আখতারুজ্জামান মিয়া অথবা হাফিজুর রহমান, নীলফামারী-৪ আমজাদ হোসেন সরকার অথবা শিল্পী বেবী নাজনীন, রংপুর-৩ মোজাফফর হোসেন অথবা রিটা রহমান, কুড়িগ্রাম-৪ আজিজুর রহমান অথবা মোখলেসুর রহমান, গাইবান্ধা-২ কমোডর শফিকুর রহমান অথবা আনিসুজ্জামান বাবু, গাইবান্ধা-৫ হাসান আলী অথবা মোহাম্মদ আলী, জয়পুরহাট-১ ফয়সল আলীম অথবা ফজলুর রহমান, বগুড়া-৪ জেড আই এম মোস্তফা আলী অথবা ডা. জিয়াউল হক মোল্লা, বগুড়া-৫ জানে আলম খোকা অথবা শফিউজ্জামান খোকন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ অধ্যাপক শাহজাজান মিয়া ও সৈয়দ শাহিন শওকত, নওগাঁ-৬ আনোয়ার হোসেন ও আলমগীর কবির, রাজশাহী-৩ কবির হোসেন ও সৈয়দ শাহীন শওকত, রাজশাহী-৪ আবদুল গফুর ও আবু হেনা, রাজশাহী-৬ আবু সাঈদ চান ও দেবাশীষ রায় মধু, নাটোর-৪ মো. মোজাম্মেল হক ও আবদুর রশীদ, সিরাজগঞ্জ-১ কণ্ঠশিল্পী কনকচাঁপা ও আবদুল মজিদ, সিরাজগঞ্জ-৫ রাকিবুল ইসলাম খান পাপ্পু ও আমীরুল ইসলাম খান আলীম, সিরাজগঞ্জ-৬ কামরুদ্দিন ইয়াহিয়া খান মজলিস ও ডা. এম এ মুহিত (ডা. মতিনের ছেলে), পাবনা-৫ কামরুল হাসান মিন্টু ও শিমুল বিশ্বাস, কুষ্টিয়া-২ অধ্যাপক শহিদুল ইসলাম ও ব্যারিস্টার রাগিব রউফ চৌধুরী, মাগুরা-১ ইকবাল আকতার খান কাফুর ও কবির মুরাদ, নড়াইল-১ বিশ্বাস জাহাঙ্গির আলম ও ডা. মনিরুল ইসলাম টিপু, বাগেরহাট-২ মনিরুল ইসলাম খান ও এম এ সালাম, খুলনা-৩ কাজী সেকেন্দার আলী ডালিম ও রফিকুল ইসলাম বকুল, বরগুনা-১ মতিয়ার রহমান তালুকদার ও অ্যাডভোকেট মজিদ মল্লিক, পটুয়াখালী-৩ শাহজাহান খান ও গোলাম মওলা রনি, বরিশাল-১ জহিরউদ্দিন স্বপন ও ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সোবহান, বরিশাল-২ সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল ও সরদার সরফুদ্দিন আহমদ, বরিশাল-৩ সেলিমা রহমান ও অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন, ঝালকাঠি-২ মাহবুবুল হক নান্নু ও ইসরাত সুলতানা ইলেন ভুট্টো, পিরোজপুর-২ গাজী নুরুজ্জামান বাবুল ও সোহেল মঞ্জুর সুমন, পিরোজপুর-৩ কর্নেল (অব.) শাহজাহান মিলন ও ডা. রুস্তম আলী ফরাজী, টাঙ্গাইল-৬ অ্যাডভোকেট গৌতম চক্রবর্তী ও নূর মোহম্মদ খান, জামালপুর-১ রশীদ জামান মিল্লাত ও শহিদা আক্তার রিতা, জামালপুর-২ সুলতান মাহমুদ বাবু ও আবদুল হালিম, জামালপুর-৫ নিলোফার চৌধুরী মনি ও ওয়ারেস আলী মামুন, ময়মসসিংহ-১ এমরান সালেহ প্রিন্স ও আফজল এইচ খান, ময়মনসিংহ-৪ ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন ও এ কে এম মোশাররফ হোসেন, ময়মনসিংহ-৫ এ কে এম মোশাররফ হোসেন ও জাকির হোসেন বাবলু, ময়মনসিংহ-১০ এ বি এম সিদ্দিকুর রহমান ও মুশফিকুর রহমান (ফজলুর রহমান সুলতানের ছেলে), নেত্রকোনা-১ ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, গোলাম রাব্বানী ও আবদুল করিম আব্বাসী, নেত্রকোনা-৩ রফিকুল ইসলাম হিলালী ও দেলোয়ার হোসেন দুলাল, নেত্রকোনা-৪ লুৎফুজ্জামান বাবরের স্ত্রী তাহমিনা জামান ও সৈয়দ আতাউল হক, নেত্রকোনা-৫ রাবেয়া আলী ও আবু তাহের তালুকদার, কিশোরগঞ্জ-১ রেজাউল করিম খান চুন্নু ও মাসুদ হেলালী, মানিকগঞ্জ-১ খন্দকার আখতার হামিদ ডাবলু ও ড. খন্দকার আকবর হোসেন বাবলু, মুন্সীগঞ্জ-৩ আবদুল হাই ও কামরুজ্জামান রতন, ঢাকা-৬ সাদেক হোসেন খোকা, না করলে ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন, ঢাকা-৯ আফরোজা আব্বাস ও শিরিন সুলতানা, ঢাকা-১১ মো. শাহাবুদ্দিন ও সাইফুল আলম নিরব, ঢাকা-১৪ এস এ খালেক, না করলে তাঁর ছেলে সাজু খালেক, ঢাকা-২০ ব্যারিস্টার জিয়াউর রহমান খান ও মিসেস সুলতানা আহমেদ, গাজীপুর-১ আসনে মো. মজিবুর রহমান ও কাজী সাইদুল আলম বাবুল, নরসিংদী-৩ মঞ্জুর এলাহী, অ্যাডভোকেট সানাউল্লা মিয়া ও তোফাজ্জল হোসেন মাস্টার, নরসিংদী-৪ সরদার সাখাওয়াত হোসেন বকুল ও লে. কর্নেল (অব.) জয়নুল আবেদিন, নারায়ণগঞ্জ-১ অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার ও কাজী মনিরুজ্জামান, নারায়ণগঞ্জ-২ আতাউর রহমান খান ও বদরুজ্জামান খান, নারায়ণগঞ্জ-৩ অধ্যাপক রেজাউল করিম ও আজহারুল ইসলাম মান্নান, নারায়ণগঞ্জ-৪ শাহ আলম ও মো. গিয়াসউদ্দিন, গোপালগঞ্জ-১ মেজর জে. (অব.) মহব্বত জান চৌধুরী ও সেলিমুজ্জামান সেলিম, শরীয়তপুর-১ তাহমিনা আওরঙ্গ ও শহিদুল হক সিকদার, শরীয়তপুর-২ সুলতান মাহমুদ ও শফিকুর রহমান, সুনামগঞ্জ-১ ডা. রফিক চৌধুরী অথবা নজির হোসেন, সুনামগঞ্জ-৩ কয়সর আহমেদ ও নুরুল ইসলাম সাজু, সুনামগঞ্জ-৫ মিজানুর রহমান চৌধুরী ও কলিমউদ্দিন মিলন, সিলেট-৪ দিলদার হোসেন সেলিম ও অ্যাডভোকেট শামসুজ্জামান, সিলেট-৬ এনাম আহম্মদ চৌধুরী ও ফয়সল আহমেদ চৌধুরী, মৌলভীবাজার-২ এম এম শাহীন ও অ্যাডভোকেট আবেদ রাজা, হবিগঞ্জ-৩ জি কে গউস ও আবু লেইস মবিন চৌধুরী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ অ্যাডভোকেট হারুন-অর-রশীদ ও খালেদ মাহমুদ শ্যামল, ব্রাক্ষণবাড়িয়া-৫ কাজী তাপস ও তকদির হোসেন মো. জসিম, ব্রাক্ষণবাড়িয়া-৬ রফিক শিকদার ও এম এ খালেক, কুমিল্লা-৩ শাহ মোফাজ্জল হোসাইন কায়কোবাদ, না করলে তাঁর ভাই জুন্নন বশরী, কুমিল্লা-৯ কর্নেল (অব.) আনোয়ারুল আজিম ও আবুল কালাম, কুমিল্লা-১০ মনিরুল হক চৌধুরী ও আ. গফুর ভূঁইয়া, চাঁদপুর-১ এহসানুল হক মিলন ও তাঁর স্ত্রী বেবী, চাঁদপুর-২ তানবির হুদা ও জালাল আহম্মদ, চট্টগ্রাম-২ ফরহাত কাদের চৌধুরী, সাংবাদিক কাদের গনি চৌধুরী ও ডা. খুরশিদ জামিল চৌধুরী, চট্টগ্রাম-৫ গিয়াসউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও গোলাম আকবর খন্দকার, চট্টগ্রাম-৬ হুম্মাম কাদের চৌধুরী ও ফরহাত কাদের চৌধুরী, চট্টগ্রাম-৭ মঞ্জুর মোর্শেদ খান ও আবু সুফিয়ান, চট্টগ্রাম-৮ ডা. শাহাদৎ হোসেন ও এরশাদ উল্লাহ, চট্টগ্রাম-১১ গাজী মো. শাহজাহান ও এনামুল হক এনাম, কক্সবাজার-১ সালাহ উদ্দিন আহমেদ (ভারতে আছেন), না করতে পারলে তাঁর স্ত্রী হাসিনা আহমেদ এবং বান্দরবান-১ সা চিন প্রু জেরী ও ম্যামা চিং।
বগুড়া-৬ এবং বগুড়া-৭ আসন দুটি খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের জন্য সংরক্ষিত রাখা হয়েছে।
জেরী ও ম্যামা চিং।
বগুড়া-৬ এবং বগুড়া-৭ আসন দুটি খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের জন্য সংরক্ষিত রাখা হয়েছে।
পাঠকের মতামত